Latest: করোনা টিকা প্রয়োগের নামে লোক ঠকিয়ে তথ্য হাতানো চলছে এই রাজ্যে
করোনা আবহে ব্যাঙ্ক জালিয়াতি, চুরি, সাইবার হ্যাকিং-এর মতন ঘটনা গুলি সম্পর্কে প্রায় সকলেই জানে। লকডাউন চলাকালীন বিশ্বজুড়ে সাইবার জালিয়াতি প্রচুর পরিমাণে বৃদ্ধিও পেয়েছে। সাইবার হ্যাকাররা নিজেদের স্বার্থসিদ্ধির জন্য ভিন্ন ভিন্ন পন্থায় মানুষকে ঠকাচ্ছে।
সেই তালিকায় এ বার যুক্ত হল দেশের বর্তমান পরিস্থিতি। অর্থাত্ সাইবার হ্যাকাররা করোনার টিকা নিয়েও মানুষকে বিভ্রান্ত করছে। করোনার ভ্যাকসিন কারা পাবে, কীভাবে পাবে সেই নিয়ে দেশে এখন টানটান উত্তেজনা।
তার মধ্যেই একদল করোনার প্রতিষেধক দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়ে মানুষের গোপন তথ্য জেনে নিচ্ছে। সম্প্রতি এই জাতীয় প্রতারণার ঘটনা কর্তৃপক্ষের নজরে আসায় তাঁরা সতর্ক করেছে দেশের মানুষকে।
সূত্রের খবর, এই ধরনেরর ঘটনা বেশি হচ্ছে উত্তরপ্রদেশে। গোরখপুর, দেউরিয়া, বস্টি, মাউ, ঘাজিপুর এবং প্রতাপগড়ে বেশ কিছু লোকজন জালিয়াতির কবলে পড়েছেন।
একদল, মোবাইলে ফোন করে ব্যক্তিকে করোনা টিকা সরবরাহে নাম রেজিস্ট্রেশনের জন্য আধার কার্ডের নম্বর, ব্যাংক অ্যাকাউন্ট নম্বর, বিমা সম্পর্কিত বিশদ তথ্য জেনে নিচ্ছে।
আরও পড়ুন: মুম্বাই হামলার মূল পরিকল্পনাকারী লাখভি আবারও গ্রেফতার
আর তার পরেই তাঁদের অ্যাকাউন্ট থেকে বিশাল অঙ্কের টাকা সরিয়ে ফেলা হচ্ছে। তাই স্বাস্থ্য এবং পুলিশ আধিকারিকের তরফে জনসাধারণকে সচেতন থাকার জন্য এবং এই ধরণের ফাঁদে পা না দেওয়ার জন্য সাবধান করা হয়েছে।
একজন স্বাস্থ্য কর্মকর্তা জানিয়েছেন,” করোনা ভ্যাকসিনের রেজিস্ট্রেশনের জন্য স্বাস্থ্য বিভাগ থেকে কোনও ফোন করা হচ্ছে না। কেবলমাত্র প্রথম সারির স্বাস্থ্যকর্মীদের জন্য চলতি বছরে জানুয়ারির তৃতীয় সপ্তাহ থেকে টিকা দেওয়ার ব্যবস্থা করা হবে”।
পুলিশের ডিরেক্টর জেনারেল দাওয়া শেরপা বলেছেন, “টিকা প্রদানের প্রতিশ্রুতি দিয়ে অনলাইন জালিয়াতির ঘটনা প্রকাশ্যে এসেছে। সুতরাং, আমি জনগণকে এই ধরণের প্রতারণার ফাঁদে পা না দেওয়ার জন্য আবেদন করছি।
আমি পরিষ্কার জানিয়ে দিচ্ছি, এমন কোনও সংস্থা বা সরকারী কর্মকর্তা নেই যারা ভ্যাকসিন বিতরণ বা ভ্যাকসিনেশন ড্রাইভ সম্পর্কে কথা ফোন করে কারোর সঙ্গে কথা বলেছেন। টিকা দেওয়ার প্রক্রিয়া কখন এবং কীমভাবে শুরু হবে, সেই সম্পর্কে জনসাধারণকে সঠিক সময় জানানো হবে”।
সুত্র: নিউজ ১৮ বাংলা