সরকার পতনের এক দফা দাবিতে রবিবার থেকে শুরু হয়েছে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ডাকা সর্বাত্মক অসহযোগ আন্দোলন। এরই মধ্যে দুই দিনের জন্য নতুন কর্মসূচি ঘোষণা করেছেন আন্দোলনের সমন্বয়করা। রবিবার (৪ আগস্ট) দুপুর ১টা ৪০ মিনিটে গণমাধ্যমকর্মীদের হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপে নতুন কর্মসূচি সম্পর্কে বিস্তারিত জানান আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী নাহিদ ইসলাম। নতুন কর্মসূচির প্রথম দিন অর্থাৎ আগামীকাল সোমবার সকালে সারা দেশে কোটা সংস্কার আন্দোলনের শহীদদের স্মরণে শাহাদাতবরণ করার স্থানগুলোতে ‘শহীদ স্মৃতিফলক’ উন্মোচন করা হবে।
নতুন কর্মসূচির সূচি
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন নতুন কর্মসূচি হিসেবে দুই দিনের জন্য বিভিন্ন কার্যক্রম হাতে নিয়েছে। এ কর্মসূচির বিস্তারিত নিচে দেওয়া হলো:
- প্রথম দিন: কোটা সংস্কার আন্দোলনের শহীদদের স্মরণে ‘শহীদ স্মৃতিফলক’ উন্মোচন।
- দ্বিতীয় দিন: সারাদেশে বিক্ষোভ মিছিল এবং গণজমায়েত।
নতুন কর্মসূচির গুরুত্ব
নতুন কর্মসূচির মাধ্যমে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন তাদের দাবি পূরণে আরও জোরদার পদক্ষেপ নিচ্ছে। শহীদদের স্মরণ এবং গণজমায়েতের মাধ্যমে তারা জাতীয় এবং আন্তর্জাতিক মনোযোগ আকর্ষণ করতে চায়।
কেন এই আন্দোলন?
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের প্রধান উদ্দেশ্য হলো সরকারের পতন এবং বিভিন্ন বৈষম্যের অবসান। তারা মনে করেন, বর্তমান সরকার বৈষম্যমূলক নীতি গ্রহণ করেছে যা দেশের সাধারণ মানুষের জন্য ক্ষতিকর।
আন্দোলনের প্রভাব
অসহযোগ আন্দোলনের ফলে দেশের বিভিন্ন স্থানে সাধারণ মানুষের মধ্যে সচেতনতা বৃদ্ধি পাচ্ছে। অনেকেই এ আন্দোলনে সমর্থন জানাচ্ছেন এবং অংশগ্রহণ করছেন।
কোটা সংস্কার আন্দোলন এবং তার প্রভাব
কোটা সংস্কার আন্দোলনের শহীদদের স্মরণে নতুন কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়েছে। এ কর্মসূচির মাধ্যমে ছাত্র আন্দোলন তাদের পূর্বের দাবির প্রতি নিবেদিত থাকার প্রমাণ দিচ্ছে।
ভবিষ্যত পরিকল্পনা
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন তাদের দাবির পক্ষে ভবিষ্যতে আরও অনেক কর্মসূচি হাতে নেওয়ার পরিকল্পনা করছে। তারা বিভিন্ন কার্যক্রমের মাধ্যমে সরকারের প্রতি চাপ সৃষ্টি করতে চায়।
আন্দোলনের সমন্বয়কারীরা
আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক নাহিদ ইসলাম জানান, তাদের কর্মসূচি সম্পূর্ণ শান্তিপূর্ণ এবং গণতান্ত্রিক পদ্ধতিতে পরিচালিত হবে।
জনসমর্থন
বিভিন্ন কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রছাত্রীদের মধ্যে এ আন্দোলন ব্যাপক সমর্থন পাচ্ছে। অনেকেই নিজেদের মতামত প্রকাশ করছেন এবং বিভিন্ন স্থানে বিক্ষোভ মিছিলে অংশ নিচ্ছেন।
গণমাধ্যমের ভূমিকা
গণমাধ্যম এ আন্দোলনের খবর প্রচার করে জনসচেতনতা বৃদ্ধি করছে। তাদের সাহায্যে আন্দোলন আরও ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে পড়ছে।
উপসংহার
অসহযোগের মধ্যেই নতুন কর্মসূচি দিল বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন। এ আন্দোলন সরকারের বিরুদ্ধে এক দফা দাবি নিয়ে শুরু হয়েছে। নতুন কর্মসূচির মাধ্যমে তারা তাদের দাবি পূরণে আরও জোরদার পদক্ষেপ নিচ্ছে। জনসমর্থন ও গণমাধ্যমের সাহায্যে এ আন্দোলন আরও শক্তিশালী হয়ে উঠবে বলে আশা করা যায়।
Frequently Asked Questions
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের লক্ষ্য কী?
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের প্রধান লক্ষ্য বৈষম্যের বিরুদ্ধে সচেতনতা বৃদ্ধি এবং ন্যায্য অধিকার প্রতিষ্ঠা।
আন্দোলনের নতুন কর্মসূচি কীভাবে ঘোষণা করা হয়?
নতুন কর্মসূচি ঘোষণা করা হয় হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপে মিডিয়াকে জানিয়ে।
শহীদ স্মৃতিফলক উন্মোচনের উদ্দেশ্য কী?
শহীদ স্মৃতিফলক উন্মোচনের উদ্দেশ্য কোটা সংস্কার আন্দোলনের শহীদদের স্মরণ করা।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়ক কে?
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম প্রধান সমন্বয়ক হলেন নাহিদ ইসলাম।


